নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলায় প্রশাসনের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বারখাইন ইউনিয়নের বটতলী গুচ্ছ গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরের পাশেই চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেটের কারণে পাহাড়ের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ের মাটি কেটে নিচ্ছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, উপজেলা বারখাইন ইউনিয়ন বটতলী গুচ্ছ গ্রামে প্রধান মন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণের কাজে জন্য পাহাড় কাটা মাটিগুলো নিয়ে একটি স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট পাহাড় কাটা মাটিগুলো বাহিরে বিক্রি করে দিয়েছে। প্রতিদিন দিন – রাত মাটি কাটার জন্য রয়েছে একটি এস্কেভেটর এবং ২০টি ট্রাক্টর। পাহাড় কাটা দৃশ্য মোবাইল ধারণ করতে চাই একটি সিন্ডিকেট চক্রটি সদস্য বাঁধা দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।আমরা প্রশাসনকে মেনেস করে পাহাড় কাটা ব্যবসা করতেছি।এখান কয়েকজন সাংবাদিক এসে আমরা ওনাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে তাই ওনারা চলে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর উপকার দেওয়া ঘরকে কাজে লাগিয়ে পাহাড় কাটা মাটি বিক্রি করা একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট কাছে জিম্মি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১২৭ টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে পাহাড়ের মাটি কাটা অংশে আরো ১০০টি ঘর তৈরি করা হবে।আইন অমান্য করে এস্কেভেটর ও কোদাল দিয়ে দিন-রাত চলছে পাহাড় কাটা এবং মাটি বিক্রি । পাহাড় কাটায় ১টি এস্কেভেটর ২০টি ট্রাক দিয়ে বড় বড় পাহাড়গুলো কাটা হয়। সরকারি উন্নয়নের দোহাই দিয়ে উপজেলার সবর্ত্র দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে মাটিকাটার একাধিক সিন্ডিকেট।পাহাড়ের কাটার মাটি মুসজিদ, মন্দির, ধর্মীয় উপাসনালয়ে নাম ব্যবহার করে, মাটি বিভিন্ন জায়গা-জমিন ভরাট, পুকুর ভরাট কাজে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ট্রাক পাহাড় কাটা মাটি দূরত্ব ওপর নির্ভর করে ১২০০-২০০০হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিন্ডিকেটের এক সদস্য জানান,পাহাড়ের এক ড্রাম ট্রাক মাটি বিক্রি করা হয় ৯০০-২০০০ হাজার টাকায় পযর্ন্ত। পাহাড় মাটি বিক্রি টাকা প্রভাবশালীসহ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ভাগ দিতে হচ্ছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের।
ট্রাক থেকে মাটি পড়েছে পাকা সড়কে। বৃষ্টি পানিতে সড়কে তৈরি হয়েছে কাদা। দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার লোকজন। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহন ও লোকজনদের।
পাহাড়ের মাটি কাটা কাজে নিয়োজিত রাশেদ কন্ট্রাক্টর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে এই ব্যাপারে তিনি কিছু জানে বলে জানান।
বারখাইন ইউনিয়নের বটতলী গুচ্ছ গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্মাণাধীন ঘরের পাশেই পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি বিষয়ের জানতে চাইলে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন জানান, আমি কাজ করছি, আপনার কথা ভাল করে বুঝা যাচ্ছে না।আপনি অফিসে এসে যোগাযোগ করুন।
Leave a Reply