বাঁশখালীতে রাস্তায় কচুর চারা রোপণ করে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ
বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত বাঁশখালী উপজেলার আলোচিত গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা এলাকায় চলাচলের অনুপযোগী একটি মাটির সড়কে কচুর চারা রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ করেছেন এলাকাবাসী। জল আর কাদায় একাকার হয়ে সড়কটির নাকাল অবস্থা। যেন দেখার কেউ নেই। সুনজর পড়ছে না কর্তৃপক্ষের।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের দাবি জানার পরও কোনো লাভ না হওয়ায় কচুর চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনার ৬ নম্বর ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিশাল জনগোষ্ঠীর ব্যবহৃত সড়কটির প্রায় দুই কিলোমিটার জুড়ে বেহাল অবস্থা। সড়কের বেশ কিছু অংশ জল আর কাদায় একাকার হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানানোর পরও কোনো লাভ না হওয়ায় এলাকাবাসী কচুর চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কটি মাটির। বর্ষা আসলে এলাকার মানুষকে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়কটি ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিশাল জনগোষ্ঠীর ব্যবহারের একমাত্র সড়ক। সড়কটি ব্যবহার করে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষের যাতায়ত হয়। বিশেষ করে পশ্চিম বড়ঘোনা রহমানিয়া সিনিয়র মাদরাসা, গন্ডামারা বড়ঘোনা উচ্চ বিদ্যালয়, দিদারিয়া নুরুল উলুম মাদরাসা, দারুল হিকমা ইসলামীয়া মাদরাসাসহ অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে যাতায়তে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী হায়দার চৌধুরী আসিফ বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য আমি বেশ কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বরাদ্দের আবেদন করি। তিনি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং তিনি বলেছেন, আমি ওই এলাকার সড়কে একমুঠো বালিও দেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে আমি বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালীব সাদলীর কাছে সড়কটি সংস্কারের জন্য আবেদন করলে তিনি বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে কাজ করবে বলে আশ্বস্থ করেছিলেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গন্ডামারা ইউপির চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী বলেন, ‘এ সড়কের বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা না করে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন। আমি তো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নয়। এত বড় বড় সড়কের কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। এসব ইউনিয়ন পরিষদের সড়ক নয়। এ সব করে এলজিইডি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, ‘সড়কটির বিষয়ে আমি অবগত নয়। এ সড়কটি এলজিইডির তালিকাভুক্তও নয়। তারপরও সড়কটির বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।’
Leave a Reply