1. admin@dainiksabujbangla.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাঁশখালীতে গ্যারেজসহ ৬দোকানের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হ্যাট্রিক নৌকার মাঝি মনোনীত হওয়ায় মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে যুবলীগ নেতা নিজাম উদ্দিনের অভিনন্দন নাটমুড়া উচ্চ বি. এসএসসি পড়ুয়াদের মানববন্ধন বাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ১১ বসতঘর পুড়ে ছাই ক্ষয়ক্ষতি ৫০ লক্ষাধিক সংগ্রামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় তৃণমূলে প্রতিবাদের ঝড় বাঁশখালীতে হরতাল-অবরোধ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল শোডাউন বাঁশখালীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত দীর্ঘ ১৩ বছর পর ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো বাজার চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন বাঁশখালীর সাধনপুরে বিল্ডিংয়ের ছাদের পানি ফেলে মাটির ঘর ভেঙে দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

জুড়ীতে প্রধান শিক্ষকের ইন্ধনে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১ জুন, ২০২২
  • ১০৩ বার পঠিত

 

সালমান হোসেন,জুড়ী প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ভরাডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ইন্ধনে একটি গাছ কেটে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে এলাকায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে প্রধান শিক্ষকের দাবি তাকে না জানিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মনগড়াভাবে গোপনে এ কাজটি করেছেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন- উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের ভরাডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমূল্য চন্দ্র মল্লিক গত শুক্রবার (২০ মে) বিদ্যালয়ের বড় একটি আকাশী গাছ কেটে বিক্রি করেন। পাতা পুড়ানো ছাই দিয়ে গাছের গুড়ি ঢেকে রাখেন। এর আগে আরো দুইটি গাছ তিনি এভাবে কেটে বিক্রি করেছেন। গাছ কাটতে তিনি আইনের কোন তোয়াক্কা করেননি।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন- শুক্রবার বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। শনিবারে বিদ্যালয়ে এসে দেখি গাছ নেই। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা কুদ্দুছ মহালদার গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। গাছ কাটার ৯দিন পার হয়ে গেছে, উনার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? এমন প্রশ্নে তিনি নিরুত্তর। তবে প্রধান শিক্ষকের সামনে গাছের ক্রেতা তাজুল ইসলাম বলেন- প্রধান শিক্ষকের অফিসকক্ষে উনার উপস্থিতিতে আমার নিকট গাছ বিক্রি করা হয়। প্রধান শিক্ষক অন্যান্য গাছের সমস্ত ডালপালাও ক্রয় করতে বলেছেন, আমি সেগুলো নেইনি। কুদ্দুছ মহালদার নিজ দায়িত্বে গাছ কাটিয়ে দিলে আমি টাকা দিয়ে নিয়ে যাই।
আব্দুল কুদ্দুছ মহালদার বলেন- আমি বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি। বর্তমান কমিটির অনুরোধে আমি বিদ্যালয়ের মাটে ২২ হাজার টাকার মাটি ভরাট করি। আমাকে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। বাকী টাকার মধ্যে একটি গাছ দেয়া হয়, যা ৬হাজার টাকায় বিক্রি করি। এখনও ৬ হাজার টাকা পাওনা আছি।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহেনা খোশরোজ এর মোবাইল ফোনে অসংখ্যবার কল করলেও সেটা বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো: মহিউদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- বিষয়টি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে অবগত হলাম। একের পর এক প্রধান শিক্ষকরা আইন না মেনে গাছপালা কেটে বিক্রি করছেন। এ অফিসে এমনিতেই জনবল সংকট, আমি একা অফিস দেখবো না ওদিক দেখবো? বিভিন্ন সভায় বার বার সতর্ক করার পরেও ওরা কেন এ কাজ করে? সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে বিহীত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Dainik Sabuj Bangla
Theme Customized By Shakil IT Park