দিদার হোসাইন,স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নেজাম নামের এক ব্যবসায়ি আহতের ঘটনা ঘটেছে।
১৮ সেপ্টেম্বর(রবিবার) সকাল ১১ টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউপিস্থ ৪ নং ওয়ার্ডের জলকদর খালের বেড়িবাঁধ এলাকায় হামলা সহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে,এই বিষয়ে হামলার অভিযোগে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে আহত নেজামের ভাই মুহাম্মদ জসিম।
এজাহার সুত্রে জানা যায়,বাহারচড়া ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের ইসহাক মিয়া(প্রঃ ইনসাফ মিয়া)র ছেলে নেজাম উদ্দিন একজন ঝাড়ু ব্যবসায়ি,সে গত ১৮ সেপ্টেম্বর(রবিবার) সকাল ১১টার দিকে বান্দরবান থেকে ব্যবসায়িক মালামাল আনতে যাওয়ার জন্যে ঘর থেকে বের হয়ে ওই এলাকার জলকদর খাল সংলগ্ন মইন্নার দোকান এলাকায় গিয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠে।
এসময় একই এলাকার মৃত্যু লেদু মিয়ার ছেলে হারুন (৪৪),হারুন এর ছেলে হাবিব উল্লাহ প্রঃ হাউব্বা(২৪) ও হামিদ উল্লাহ (২৩), লেদের(২২) এবং মৃত্যু লেদু মিয়ার ছেলে মোঃ হেলাল(৩৩)সহ ৪/৫জন লোক ব্যবসায়ি নেজাম উদ্দিনের উপর হামলা চালায়, এসময় চুরিকাঘাতে আহত হয়ে মাটি পড়ে গেলে হামলাকারীরা তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী জামাল উদ্দিন,জহুরুল আলম, আলমগীর,সায়েম সহ বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা জানা যায়,আসামি হারুন, তার ছেলে হাবিবুল্লাহ, হামিদ উল্লাহ,লেদের ও হেলাল সহ ভিকটিম নেজাম হামলা টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ভিকটিম নেজাম এর মা-নুরুজ্জাহান ও তার বড় বোন মরিয়ম বেগম এবং মামলার বাদী জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান,ভিকটিম নেজাম উদ্দিন স্থানীয় জহুরুল আলম এর সাথে পার্টনার হিসেবে ঝাড়ুর ব্যবসা করে থাকে।তারা বান্দরবান সহ বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ফুলের ঝাড়ু পাইকারি হিসেবে ক্রয় করে এনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে উপার্জন করে থাকে।
এরইমধ্যে গত রবিবার সকাল ১১ টার দিকে নেজাম ব্যবসায়িক ঝাড়ু আনতে যাওয়ার আড়াই লাখ টাকা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে জলকদর খালের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মইন্নার দোকান এলাকায় গিয়ে গাড়িতে উঠে।এসময় উল্লেখিত আসামিরা অতর্কিত ভাবে এলোপাতাড়ি চুরিকাঘাত করে।এসময় ভিকটিম নেজাম গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা তার কাছে থাকা ক্যাশ আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে,এসময় তারা আরো বলেন,নেজাম এর উপর হামলার বিষয়ে কোন মামলা করলে হারুন তার নিজের ঘর ভেঙে নেজামের পরিবারের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা করার হুমকি দিয়েছে বলেও জানান পরিবারের সদস্যরা।
তবে এসময় মইন্নার দোকান এলাকায় উপস্থিত কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, নেজাম এবং হারুন যৌথভাবে একটি বোট কিনেছিল, সেই বোটের লেনদেন বাবত হারুন ১ লাখ টাকা নেজামের কাছ থেকে পাওয়ানা ছিল,ওই টাকা নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়,কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়,এসময় নেজামকে চুরিকাঘাত করা হয়।এসময় তারা আরো বলেন, নেজাম আহত হওয়ার পর নেজামের আত্মীয় স্বজনরা আসামি হারুন এর একটি ঘরের মালামাল ভাংচুর করেছে বলে জানান তারা।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন,নেজাম এবং হারুন যৌথভাবে বোটের ব্যবসা করত বলে আমি শুনেছি,ওই বোটের ব্যাপারে নেজাম এর কাছ থেকে হারুন এক লাখ টাকা পাওয়ানা আছে সেই সুবাদে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে বাড়াবাড়ি কালে ঘটনা ঘটেছে বলে আমি শুনেছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন,নেজাম নামের এক ব্যবসায়ীকে হামলার বিষয়ে তার ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে থানা একটি মামলা দায়ের করেছে,আসামীদের আটকের জন্যে ইতিমধ্যে থানা পুলিশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে,কিন্তু এখনো পর্যন্ত আটক করা হয়নি।আটকের জন্যে চেষ্টা অব্যাহ রয়েছে বলে জানান ওসি কামাল।বাঁশখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১
২৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার)
দিদার হোসাইন,স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নেজাম নামের এক ব্যবসায়ি আহতের ঘটনা ঘটেছে।
১৮ সেপ্টেম্বর(রবিবার) সকাল ১১ টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউপিস্থ ৪ নং ওয়ার্ডের জলকদর খালের বেড়িবাঁধ এলাকায় হামলা সহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে,এই বিষয়ে হামলার অভিযোগে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে আহত নেজামের ভাই মুহাম্মদ জসিম।
এজাহার সুত্রে জানা যায়,বাহারচড়া ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের ইসহাক মিয়া(প্রঃ ইনসাফ মিয়া)র ছেলে নেজাম উদ্দিন একজন ঝাড়ু ব্যবসায়ি,সে গত ১৮ সেপ্টেম্বর(রবিবার) সকাল ১১টার দিকে বান্দরবান থেকে ব্যবসায়িক মালামাল আনতে যাওয়ার জন্যে ঘর থেকে বের হয়ে ওই এলাকার জলকদর খাল সংলগ্ন মইন্নার দোকান এলাকায় গিয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠে।
এসময় একই এলাকার মৃত্যু লেদু মিয়ার ছেলে হারুন (৪৪),হারুন এর ছেলে হাবিব উল্লাহ প্রঃ হাউব্বা(২৪) ও হামিদ উল্লাহ (২৩), লেদের(২২) এবং মৃত্যু লেদু মিয়ার ছেলে মোঃ হেলাল(৩৩)সহ ৪/৫জন লোক ব্যবসায়ি নেজাম উদ্দিনের উপর হামলা চালায়, এসময় চুরিকাঘাতে আহত হয়ে মাটি পড়ে গেলে হামলাকারীরা তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী জামাল উদ্দিন,জহুরুল আলম, আলমগীর,সায়েম সহ বেশ কয়েকজন লোকের সাথে কথা জানা যায়,আসামি হারুন, তার ছেলে হাবিবুল্লাহ, হামিদ উল্লাহ,লেদের ও হেলাল সহ ভিকটিম নেজাম হামলা টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ভিকটিম নেজাম এর মা-নুরুজ্জাহান ও তার বড় বোন মরিয়ম বেগম এবং মামলার বাদী জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান,ভিকটিম নেজাম উদ্দিন স্থানীয় জহুরুল আলম এর সাথে পার্টনার হিসেবে ঝাড়ুর ব্যবসা করে থাকে।তারা বান্দরবান সহ বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ফুলের ঝাড়ু পাইকারি হিসেবে ক্রয় করে এনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে উপার্জন করে থাকে।
এরইমধ্যে গত রবিবার সকাল ১১ টার দিকে নেজাম ব্যবসায়িক ঝাড়ু আনতে যাওয়ার আড়াই লাখ টাকা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে জলকদর খালের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মইন্নার দোকান এলাকায় গিয়ে গাড়িতে উঠে।এসময় উল্লেখিত আসামিরা অতর্কিত ভাবে এলোপাতাড়ি চুরিকাঘাত করে।এসময় ভিকটিম নেজাম গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা তার কাছে থাকা ক্যাশ আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে,এসময় তারা আরো বলেন,নেজাম এর উপর হামলার বিষয়ে কোন মামলা করলে হারুন তার নিজের ঘর ভেঙে নেজামের পরিবারের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা করার হুমকি দিয়েছে বলেও জানান পরিবারের সদস্যরা।
তবে এসময় মইন্নার দোকান এলাকায় উপস্থিত কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, নেজাম এবং হারুন যৌথভাবে একটি বোট কিনেছিল, সেই বোটের লেনদেন বাবত হারুন ১ লাখ টাকা নেজামের কাছ থেকে পাওয়ানা ছিল,ওই টাকা নিয়ে তাদের কথা কাটাকাটি হয়,কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়,এসময় নেজামকে চুরিকাঘাত করা হয়।এসময় তারা আরো বলেন, নেজাম আহত হওয়ার পর নেজামের আত্মীয় স্বজনরা আসামি হারুন এর একটি ঘরের মালামাল ভাংচুর করেছে বলে জানান তারা।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন,নেজাম এবং হারুন যৌথভাবে বোটের ব্যবসা করত বলে আমি শুনেছি,ওই বোটের ব্যাপারে নেজাম এর কাছ থেকে হারুন এক লাখ টাকা পাওয়ানা আছে সেই সুবাদে লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে বাড়াবাড়ি কালে ঘটনা ঘটেছে বলে আমি শুনেছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন,নেজাম নামের এক ব্যবসায়ীকে হামলার বিষয়ে তার ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে থানা একটি মামলা দায়ের করেছে,আসামীদের আটকের জন্যে ইতিমধ্যে থানা পুলিশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে,কিন্তু এখনো পর্যন্ত আটক করা হয়নি।আটকের জন্যে চেষ্টা অব্যাহ রয়েছে বলে জানান ওসি কামাল।
Leave a Reply