আফনান চৌধুরী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) :
নতুন বছরের প্রথম দিনটি উদ্ভাসিত হয়েছিল ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের হাসির আলোয়।নতুন শ্রেণীতে নতুন বই পাওয়ার আনন্দই অন্যরকম।কেননা দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের অনেকেরই নতুন বই কেনার সামর্থ্য থাকে না। তারা আগে পুরনো বই দিয়েই বছর পার করত। এখন সবার হাতেই নতুন বই। তাই উৎসবমুখর পরিবেশে সর্বস্তরের শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথমদিনে পাঠ্যপুস্তক উৎসবে শামিল হয়েছিল ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
নতুন বছর, নতুন দিন, নতুন বইয়ে হোক রঙিন’ এই স্লোগানে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১নং পুকুরিয়া ইউনিয়নে উৎসব মুখর পরিবেশে রবিবার সকালে চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন আধুনিক পুকুরিয়া ইউনিয়নের রুপকার, বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান জননেতা আলহাজ্ব মোঃ আসহাব উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব মোঃ আসহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান বলেন,প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য হচ্ছে শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, নৈতিক, মানবিক, নান্দনিক, আধ্যাত্মিক ও আবেগ-অনুভূতির বিকাশ সাধন এবং তাদের দেশাত্মবোধে, বিজ্ঞানমনস্কতায়, সৃজনশীলতায় ও উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্শনে উদ্বুদ্ধ করা। প্রতিটি শিশুর প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার হলো শিক্ষা। এটি শুধুমাত্র সরকার একার দায়িত্ব নয় বরং প্রতিটি বাবা মাকেও সমানভাবে প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরনের দায়িত্ব পালন করতে হবে।সরকার শিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে, আপনাদেরকে এগিয়ে আসলে সরকার তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।
সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে চরম মতদ্বৈধতায় ভুগেছিলাম, কিন্তু আমার লক্ষ্য ছিলই একটা এই এলাকার জনগোষ্ঠীকে প্রাথমিক শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার জন্য মন যখন হাহাকার তখন আমি কোন সম্পদের দিকে না তাকিয়ে এই বিশাল জায়গা এই চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য উৎসর্গ করে দিই ও এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাতা করি।শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, এই প্রতিষ্ঠান তোমরা ধরে রাখবা,লেখাপড়া বেশি বেশি করবা, তোমরা ভাল রেজাল্ট করবা সর্বোপরি দেশ ও জাতির জন্য সারা ছড়িয়ে পড়বা এটাই আমার সফলতা।
Leave a Reply